- Advertisement -
জাত নির্বাচন পরবর্তীতে বীজ ধানে করণীয়
কৃষিবিদ মোহাইমিন
ভালো বীজ চেনার উপায় : ভালো বীজ বিজাতমুক্ত, আগাছা বীজমুক্ত, রোগ ও পোকামাকড়মুক্ত, অপদ্রব্যমুক্ত, পরপিক্ব ও পুষ্ট, সমআকার, চকচকে, সঠিক আর্দ্রতাযুক্ত (১২%), অংকুরোদগম ক্ষমতা বা গজানোর হার কমপক্ষে ৮০% এবং বিশুদ্ধতার হার কমপক্ষে ৯৫-৯৯%। বীজের প্যাকেটের গায়ে লাগানো ট্যাগ ও লেবেলিং দেখে বীজ কিনতে হবে। বীজ কেনার সময় ক্যাশ মেমো নিতে ভুলবেন না কিন্তু।
বীজ বাছাই (চিটা ধান অপসারণ) : ভালো বীজ মানে সবল চারা। এজন্য ১০ লিটার পরিস্কার পানিতে ৩৫০ গ্রাম ইউরিয়া সার মিশিয়ে ১০ কেজি ছেড়ে দিয়ে হাত দিয়ে নাড়িয়ে দিন। পুষ্ট বীজ ডুবে নিচে জমা হবে এবং অপুষ্ট ও চিটাগুলো পানির উপরে ভেসে উঠবে। হাত বা চালনি দ্বারা ভাসমান বীজগুলো সরিয়ে ফেলতে হবে। বালতির নিচে থাকা পুষ্ট বীজগুলো তুলে পরিষ্কার পানিতে ৩-৪ বার ভালো ভাবে ধুয়ে নিতে হবে।
বীজের অংকুরোদগম বা গজানো পরীক্ষা : অঙ্কুরোদগম পরীক্ষার জন্য ১০০টি বীজ নিতে হবে। প্লাস্টিকের পাত্রে দেড় থেকে দুই ইঞ্চি পুরু করে বালি নিন । বীজগুলো বালুর বসিয়ে নিন। তারপর পানি ছিটিয়ে এমনভাবে ভিজিয়ে দিন যেন পানি বালুতে পানি ভেসে না থাকে। ১-২ সপ্তাহ পর চারাগুলো পরীক্ষা করুন। যদি কমপক্ষে ৮০টি সুস্থ্য সবল চারা পাওযা যায় তবে এ ধান বীজ হিসেবে ব্যবহাররে উপযোগী । এখানে সুস্থ সবল চারা বলতে সঠিক আকৃতি ও অনুপাতে পাতা ও শিকড় থাকবে।
বীজ শোধন ও জাগ দেয়া : বাছাইকৃত বীজ কাপড় বা চটের ব্যাগে ভরে ঢিলা করে বেধে নিন। এবার প্রতি কেজি বীজের জন্য এক লিটার পরিমাণ পানি ও ২-৩ গ্রাম পরিমাণ অটোস্টিন/ প্রোভেক্স/হেডোজিম যে কোন একটি ছত্রাকনাশক একটি পাত্রে মিশিয়ে নিন। এরপর বীজের পোটলাটি ২৪ ঘন্টা ছত্রাকনাশক মিশ্রিত পানিতে ডুবিয়ে রাখুন। এভাবে বীজ শোধনও হলো আবার প্রয়োজন অনুযায়ী ভিজেও গেল অত:পর বীজের পানি ঝরিয়ে জাড় দেয়ার ব্যবস্থা নিন। এভাবে জাগ দিলে ৪৮ ঘণ্টা বা দুই দনিরে মধ্যে বীজের অংকুর বের হবে এবং বীজতলায় বপনের উপযুক্ত হবে।
- Advertisement -
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.