- Advertisement -

বারহাট্টায় প্রথম বাণিজ্যিকভাবে পেপে চাষ

395

- Advertisement -

 

বারহাট্টার মাটিতেও পেপেও  জন্মায়

হঠাৎ একদিন একজন প্রগতিশীল কৃষক কৃষি অফিসে হাজির। তিনি পেଁপে চাষ করতে আগ্রহী। পেଁপে চাষের আধুনিক পদ্ধতির কলাকৌশলগুলো বিস্তারিত বুঝিয়ে দিলাম। তাকে একটা বিষয় নিশ্চিত করতে বলি, সেটি হলো সঠিক জাত। বারহাট্টার নিকটবর্তী নির্ভরযোগ্য নার্সারি হিসেবে কেওয়াটখালী হর্টিকালচার সেন্টারের কথা জানালাম।  একটা পরিতৃপ্তি নিয়ে তিনি বিদায় নিলেন।

বলছিলাম সানোয়ার সাহেবের কথা। বারহাট্টা উপজেলার মোহনপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি বারহাট্টা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। বর্তমানে মাছ চাষসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি আবাদের উদ্যোক্তা।

উদ্যোগী সানোয়ার সাহেবকে কেওয়াটখালী হর্টিকালচার সেন্টারে দেখে সত্যিই অবাক হই। পরবর্তীতে আগ্রহ নিয়েই পেଁপে সংক্রান্ত সবধরনের কারিগরী সেবা দিয়েছি। তিনি ১২০ টি উন্নত জাত তথা রেডলেডি জাতের চারা সংগ্রহ করেছিলেন। পূর্ব প্রস্তুতি রাখা বিশাল পুকুরের পাড়ে তিনি ১১৪ টি চারা রোপণ করেন। সময়ে সময়ে যত্ন, সার ও বালাইনাশক স্প্রে করেন।

বাগানটি ক্রমে ক্রমে বড় হতে থাকে। তার স্বপ্নটি ক্রমশ বাস্তবে রুপান্তরিত হয়েছে। পেଁপে আবাদে তার প্রায় ৩০,০০০ (ত্রিশ)হাজার টাকা ব্যয় হয়। তিনি তার বাগান থেকে প্রায়  ১ লাখ টাকার বিক্রি করেন। বারহাট্টার মাটিতেও সঠিক যত্ন, সার, পরিচর্যায় আশানুরুপ পেଁপে উৎপাদন হয়, সানোয়ার সাহেব প্রমাণ করলেন।

সংকলন: কৃষিবিদ মোহাইমিন

 

- Advertisement -

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.