- Advertisement -
শাকসবজি ও ফলমূল নিরাপদ রাখার লক্ষ্যে করণীয় ও স্ব-উদ্যোগ বাস্তবায়ন পন্থা
কৃষিবিদ মোহাইমিনুর রশিদ
ভাবতে অবাক লাগে, সস্তায় পাওয়া পেয়ারাটি এখন ফাইভ স্টার হোটেলের গুরুত্বপূর্ণ মেনু। আরোও মজার ব্যাপার যেখানে আমাদের সমাজে ভিনদেশী দুর্লভ ফল আপেলকে এখনও অর্ধেকটুকু দেওয়ার অভ্যেস তৈরি হয়নি অথচ অসময়ের পেয়ারাকে অনায়াসে স্লাইস করে টেবিলে অবলীলায় সাজিয়ে দেয়া হচ্ছে, কেই মাইন্ড করছে না বরং মজা করে খাচ্ছে এবং অল্পতেই তুষ্ট হচ্ছে। পলিথিনে মোড়ানো পরিষ্কার সুন্দর চকচকে পেয়ারা যে খাচ্ছেন, প্রশ্ন হলো পেয়ারাটি খাদ্য হিসেবে নিরাপদ কিনা? কারণ খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মতো কঠিনতম দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনও মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন নি:সন্দেহে ফসলের উৎপাদনে দারুণ ব্যাঘাত তৈরি করছে, এ কথা বলতে দ্বিধা নেই। ক্রমবর্ধমান জনমানুষের মুখে দুবেলা খাবার তুলে দেয়ার চ্যালেঞ্জ নিতে গিয়ে কৃষিজ পণ্য উৎপাদনের গুণগত মান যাচাই বাছাই করার ফুসরৎটুকু আমাদের নেই। ফসলের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য রাসায়নিক সার, রাসায়নিক বালাইনাশক, গ্রোথ হরমোন, এন্টিবায়োটিক এসব রাসায়নিকের উপর নির্ভর হয়ে যাচ্ছে কৃষিজ ব্যবস্থাপনা। তাইতো দেখা যায়, কৃত্রিম সার, কীটনাশক, ছত্রাকনাশক, ফসল উজ্জীবকসমূহ শুধুমাত্র মাটি, পানি ও বায়ুকেই দূষিত করছে না বরং মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বাঁধা হয়ে পিরামিডের পিলারের মতো সামনে দাড়াচ্ছে। কৃষিজ পণ্যের মধ্যে সবচেয়ে ঝুকিপূর্ণ সেক্টর হলো শাকসবজি ও ফলমূল। তাই স্বাস্থ্য সচেতন আপামর মানুষরাই এই বিষ থেকে মুক্তির সোচ্চার দাবি তুলছে। মানুষের মুখে নিরাপদ খাদ্য তুলে দেওয়াটাই আজ কৃষি বিভাগের মানুষের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।
নিরাপদ ফসলের অন্তরায়সমূহ
১. রাসায়নিক সার
রাসায়নিক সার যেমন ইউরিয়া, টিএসপি, ডিএপি, এমওপি, সলুবোরণ, জিপসাম ইত্যাদি। ফসল বৃদ্ধিতে রাসায়নিক সার খুবই উপকারী তবে বেশি সারে বেশি ফসল এ কথাটি মোটেও সত্য নয়। জমিতে পরিমিত মাত্রায় রাসায়নিক সার ব্যবহার করা উচিত। অপরিকল্পিতভাবে রাসায়নিক সার ব্যবহার করলে জমির উর্বরতা শক্তি নষ্ট হয়ে যায়। মাটির উৎপাদনশীলতা কমে যায়। সার মিশ্রিত ফসলগুলোর গুণগত মান কমে যায়। অনেক সময় স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ভারী ধাতু যেমন ক্যাডমিয়ামের মতো ধাতুর অস্তিৃত্ব চালে পাওয়া যায়। ফলে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন ব্যাহত হয়। তাছাড়া পরিবেশের ভারসাম্য বিনষ্ট হয়।
২. রাসায়নিক বালাইনাশক
বীজ শোধন থেকে শুরু করে শস্য গুদামজাত পর্যন্ত ফসলের নিরাপত্তার জন্য কৃষকরা নিরবিচ্ছিন্নভাবে রাসায়নিক বালাইনাশক ব্যবহার করে থাকে। এই রাসায়নিক বালাইনাশকগুলোই আমাদের পরিবেশকে নিদারুণভাবে বিনষ্ট করে জীব বৈচিত্র্যকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। পাশাপাশি আমরাও বিষযুক্ত শাকসবজি ও ফলমূল খাচ্ছি।
৩. ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার
নিয়মিত বিরামহীনভাবে ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহার নির্মল পরিবেশের জন্য বিপদজনক। আমরা প্রতিনিয়ত ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহার করে কৃষি কাজ পরিচালনা করছি। ফলে একদিকে ভূগর্ভস্থ পানি কমে গিয়ে মারাত্বক ভূমিকম্প হতে পারে পাশাপাশি বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ মিশ্রিত পানি দ্বারা চাষকৃত জমির উর্বরতা নষ্ট হচ্ছে। মানুষ বিভিন্ন রকম রোগ মহামারীর আক্রান্ত হচ্ছে।
৪. ফল পাকাতে রাসায়নিক পদার্থ
ক্যালসিয়াম কার্বাইড এক ধরণের রাসায়নিক পদার্থ। এটি এক ধরণের যৌগ যা বাতাসে বা জলীয় সংস্পর্শে এলেই উৎপন্ন হয় এসিটিলিন গ্যাস। যা ফলমুলে প্রয়োগ করলে এসিটিলিন ইথানল নামক বিষাক্ত পদার্থে রূপান্তরিত হয়। পরবর্তীতে আর্সেনিক ও ফসফরাস গ্যাস উৎপন্ন হয়। যা মানব শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। তাছাড়া আরোও একটি মারাতœক রাসায়নিক হলো ইথেফোন । ইহা একটি ইথিলিন শ্রেণীর রাসায়নিক দ্রব্য। এটিও ফল পাকায়। সাধারণত এটি প্রয়োগের ফলে ইথিলিন গ্যাস নিঃসরণ হওয়ার কারণে ফলের রঙ বদলায় ও ফল দ্রুত পেকে যায়। অপরিপক্ক ফলে অনির্ধারিত বা অসমমাত্রায় এ রাসায়নিক টি ব্যবহারের কারণে ফলের পুষ্টিমান কমে যায়, স্বাদ খারাপ হয় এবং বিভিন্ন অসুখ বিসুখসহ জনস্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়।
৫. শাকসবজি তাজা রাখতে রাসায়নিক পদার্থ
ফরমালিন একটি রাসায়নিক যা ৩৭% থেকে ৪১% ফরমালডিহাইডের জলীয় দ্রবণ। এটি বর্ণহীন, ঝাঁঝালো বৈশিষ্ট্যপূর্ণ। ফরমালিন একটি বিষাক্ত পদার্থ। এটি খাদ্য দ্রব্য ও কৃষিপণ্য সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণে ব্যবহারের জন্য অনুমোদিত নয়। এটি সাধারণ মৃত নমুনা সংরক্ষণে হাসপাতাল মর্গ, গবেষণাগার এবং বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান যেমন পেইন্ট, প্লাস্টিক শিল্প, টেক্সটাইল ও নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত হয়। এটি জীবানু প্রতিরোধী/জীবাণুনাশক বিধায় পচনশীল কৃষিপণ্য যেমন ফল, সবজি, দুধ মাছ এসব সংরক্ষণে প্রায়ই অসাধু ব্যবসায়ীরা ব্যবহার করে থাকে। এটি জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি স্বরূপ। এটি মানুষের কিডনি, লিভার ও ¯œায়ুতন্ত্রের ক্ষতি করে। শাকসবজি, আমসহ বিভিন্ন কৃষিজাতপণ্য ও খাদ্য দ্রব্যে ফরমালিনের ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। ফরমালিন নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৫ এ ফরমালিন ব্যবহার রোধে জেল জরিমানাসহ কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে।
নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে করণীয়
জৈবসারের ব্যবহার-কম্পোস্ট সার, কেঁচো কম্পোস্ট, কুইক কম্পোস্ট-সার ব্যবহার বৃদ্ধি করা। মাটি পরীক্ষা করে জমিতে প্রয়োজনীয় রাসায়নিক সার নিয়ম মোতাবেক প্রয়োগ করা। ইউরিয়া সারের প্রয়োগ কমিয়ে ডিএপি সারের ব্যবহার বাড়ানো। ফসল উৎপাদনে আইপিএম কৌশল- জৈবিক বালাই ব্যবস্থাপনা-ভেষজ বালাইনাশক ব্যবহার, উপকারি পোকামাকড় সংরক্ষণ ও বৃদ্ধিকরণ, আইল ফসল চাষাবাদ; বালাইসহনশীল জাত ব্যবহার করা; আধুনিক কৃষি চাষাবাদ ব্যবস্থাপনা যেমন ভালো বীজ ব্যবহার, বীজ শোধন, আদর্শ বীজতলা তৈরি, মাটি শোধন করা, সেক্স ফেরোমন ট্রেপ ও বিষটোপ ব্যবহার, সার ব্যবস্থাপনা, আগাছা ব্যবস্থাপনা, পানি ব্যবস্থাপনা, সঠিক সময়ে ফসল মাড়াই করা এসব; যান্ত্রিক ব্যবস্থাপনা যেমন হাত জাল, আলোক ফাদ এসব মেনে চলা, অবশেষে বালাইনাশকের যুক্তিসম্মত ব্যবহার অর্থ্যাৎ সঠিক বালাইনাশক নির্বাচন, সঠিক মাত্রায় সঠিক সময়ে ও সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করে বালাইনাশক স্প্রে করা উচিত। তাছাড়া ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহারে যথেষ্ট শিথিলতা বজায় রাখা উচিত।
ফল ও সবজিতে রাসায়নিকের সুষ্ঠু ব্যবহার
প্রয়োজন সাপেক্ষে নির্ধারিত ফল ইথিলিন প্রয়োগে নিরাপদ উপায়ে পাকানো বিশ্ব বাণিজ্যে স্বীকৃত। সুতরাং দূরবর্তী বাজারে প্রেরণের জন্য পরিপক্ব ফল পাকাতে ইথিলিন অনুমোদনযোগ্য। ফল পাকাতে কার্বাইড বা অ্যাসিটিলিন উৎপাদক রাসায়নিক দ্রব্য অনুমোদনযোগ্য নয়।
ইথোফোন বাজারে সাধারণত ইথরেল নামে পাওয়া যায়। গাছে ব্যবহৃত ইথেফোন ইথিলিন গ্যাসে রুপান্তরিত হয়। ইথেফোনের বিষাক্ততার মাত্রা খুবই কম এবং অনুমোদিত রেসিডিউ লেভেল ২ পিপিএম। অল্প সময়ে সমভাবে পরিপক্ব ফল পাকানোর জন্য ১০০ পিপিএম ইথিলিন গ্যাস, ১৫-২০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রা ও ৯০-৯৫% আপেক্ষিক আর্দ্রতায় দেয়া যেতে পারে। ফল পাকানোর জন্য সরাসরি স্প্রে বা ইথেফোনের জলীয় দ্রবণে ফল চুবিয়ে নেয়া যেতে পারে।
উদাহরণ হিসেবে, ফল ধরার ১০০ দিন পর সংগৃহীত গালা জাতের কাঁঠাল ১০০০ থেকে ১৫০০ পিপিএম মাত্রার ইথিলিন দ্রবণে ৫ মিনিট চুবিয়ে উঠানোর ৩৬ ঘন্টা পর পাকতে দেখা গেছে এবং গুণেমানে গ্রহণযোগ্য পাওয়া গেছে।
ইথ্রেল বা ইথেফোন নামে প্রাপ্য বাণিজ্যিক ইথিলিনের ২৫০ থেকে ৭৫০ পিপিএম দ্রবণযুক্ত গরম পানিতে ৫২+/- ২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড পরিপক্ব আম ও পেঁপে ৫ মিনিট চুবিয়ে রেখে উঠিয়ে বাতাসে শুকিয়ে নিতে হবে।
ফল পাকাতে ব্যবহৃত রাসায়নিক রাইপেন, টমাটম এসব যে নামেই বাজারজাত হোক, শুধু ইথিলিন গ্যাস উৎপাদন করলে তা অনুমোদন দেয়া যেতে পারে। অন্য কোনো গ্যাস উৎপাদন করলে বা ব্যবহৃত রাসায়নিকে ভেজাল বা অবিশুদ্বতা থাকলে তা ব্যবহারের অনুমোদনযোগ্য নয়; প্রকৃতপক্ষে, দেশীয় বা স্থানীয় বাজারে আম ও টমেটো পাকাতে হরমোন ব্যবহারের প্রয়োজন নেই। উপযুক্ত পরিপক্বতায় সংগ্রহ করলে স্বাভাবিকভাবেই আম ও টমেটো পেকে থাকে। কলার ছড়ায় ফলগুলোর ভেতর পরিপক্বতার পার্থক্য থাকায় কলা পাকাতে কৃত্রিম পদ্ধতির প্রয়োজন হয়।
দূরবর্তী বাজারে টমেটো পরিবহন ও বাজারজাতকরণের জন্য পরিপক্ব সবুজ ও হালকা রঙ ধরা টমেটো ফলে ৭৫০ পিপিএম ইথেফোন ব্যবহারে টমেটো অল্প সময়ে সমভাবে পাকে। ইথেফোন প্রয়োগকৃত টমেটো ইথেফোন ব্যবহারের ৩ থেকে ৪ দিন পর খাওয়া উচিত; পরিপক্ব টমেটো ৭৫০ পিপিএম ইথেফোন দ্রবণে ৫ মিনিট চুবিয়ে রাখতে হবে। তারপর এ দ্রবণ থেকে টমেটো উঠিয়ে বাতাসে শুকিয়ে নিতে হবে; কৃষিপণ্যে ফরমালিন ব্যবহার কোনো মাত্রাতেই অনুমোদনযোগ্য নয়। মাছ, মুড়ি, দুধ, ফল, সবজি কোনো কৃষিপণ্যে ফরমালিন ব্যবহার স্বীকৃত নয়। কৃষিপণ্যে হাইড্রোজ, ইউরিয়া, ঘনচিনি, টেক্সটাইল রঙ বা অননুমোদনহীন যে কোনো রঙ ব্যবহার মানুষ ও প্রাণীর জন্য ক্ষতিকারক। ফল ও সবজির প্রক্রিয়াজাত পণ্য তৈরিতে অনুমোদিত মাত্রায় শুধু ফুড গ্রেড কালার ব্যবহার করা যেতে পারে।
ভোক্তার করণীয়
১. ফরমালিন দূরীকরণে খাদ্য দ্রব্য খাওয়া বা রান্নার পূর্বে অবশ্যই ভালভাবে প্রবাহমান পানিতে বা কয়েকবার পানি বদল করে ধুয়ে নিতে হবে। ফরমালিন উদ্বায়ী পদার্থ তাছাড়া ৮০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রার কাছাকাছি বা তার বেশি তাপে ফরমালিন উড়ে চলে যায়। এভাবে সহজেই খাদ্য দ্রব্যকে ফরমালিন মুক্ত করা সম্ভব।
২. সব ধরণের ফল ও শাকসবজি অবশ্যই ধুয়ে নিতে হবে।
৩. মৌসুমের পূর্বে (মার্চ থেকে মধ্য এপ্রিল) যে সমস্ত আম বাজারে আসে তা ক্রয় করা থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ এসময় আম ফলে কার্বাইড ব্যবহার করে ফল পাকিয়ে থাকে।
৪. ফলের গায়ে যদি ছোপ ছোপ দাগ থাকে, বা পাউডার জাতীয় পদার্থ থাকে তা পরিহার করতে হবে।
৫. সম্ভব হলে বাজার হতে ফল বা সবজি কিনে ১-২ দিন খোলা জায়গায় রেখে দিয়ে অতঃপর খেতে হবে।
সরকারের তথা দপ্তরের স্ব-উদ্যোগ বাস্তবায়নে করণীয়
১. জনসচেতনতা সৃষ্টি করা। গণমাধ্যমে যেমন টেলিভিশন, রেডিও, পত্র পত্রিকায় ব্যাপক প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
২. প্রাতিষ্ঠানিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয় এসব জায়গায় সচেতনতা তৈরি করা।
৩. ফল ও সবজি দোকানে সচেতনতামূলক পোস্টার টাঙানো বাধ্যতামুলক করা এবং সরকারি দপ্তর থেকে তদারধি নিশ্চিত করা।
৪. সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের মাধ্যমে চাষী, প্রক্রিয়াজাতকারী, ফল ব্যবসায়ীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করা।
৫. গ্রামের হাট বাজাওে সচিত্র ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা, যেন মানুষ ফলে রাসায়নিক ব্যবহারের সুফল ও কুফল সম্পর্কে সাধারণ জনগণকে সচেতন করে তুলা।
৬. উৎপাদিত ফসলে বালাইনাশক ব্যবহারের ৩-৫ দিন পর যেন চাষীরা ফসল আহরণ করে তা নিশ্চিত করতে হবে।
৭. ইথেফোন নিরাপদ তাই রাইপিনিং এজেন্ট হিসেবে ইথেফোনকে অনুমোদন করার ব্যবস্থা নেওয়া।
৮. বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা, শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করা
৯. সামাজিকভাবে বয়কটের নিমিত্ত চিহ্নিত ভেজালকারীদের ছবিসহ পোস্টার/বিলবোর্ড সপ্তাহব্যাপী দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা।
১০. কার্বাইডের ব্যবহার বিধির ওপর কঠোর ব্যবস্থা আরোপ করা
১১. ভেষজ পদ্ধতি ও জৈব কৃষিকে উৎসাহিত করা।
নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন নিশ্চিত হউক।
তথ্যসুত্র: কৃষি তথ্য সার্ভিসের বিভিন্ন লিফলেট, কৃষিকথা ম্যাগাজিন, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল কর্তৃক প্রকাশিত খাদ্য দ্রব্যে রাসায়নিকের ব্যবহার-কতটা নিরাপদ? গবেষণা ফলাফল ও উত্তোরণের উপায়, ইন্টারনেট ও আরোও অনেক কৃষি বিষয়ক বই।
- Advertisement -
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.