- Advertisement -
কোরবানির পশু ক্রয়, জবাই ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা
কৃষিবিদ মোহাইমিনুর রশিদ
আমাদের দেশে মাত্র একদিনে অর্থ্যাৎ পবিত্র ঈদুল আযহার দিনে প্রায় তিন মিলিয়ন (৩০ লাখ) পশু জবাই হয়ে থাকে। এতো কম সময়ের ব্যবধানে এ বিশাল পরিমাণ পশু জবাই করার রেকর্ড সম্ভবত পৃথিবীতে দ্বিতীয় কোন দেশে নেই। আমাদের দেশে মূলত গরু, ছাগল, ভেড়া এসব পশুই কোরবানি দেওয়া হয়ে থাকে। কোরবানি মানে ত্যাগ বা উৎসর্গ। যা শুদ্ধতা ও পবিত্রতার প্রতীক। কোরবানি করতে গিয়ে প্রত্যেকের কতগুলো বিষয়ের প্রতি বিশেষ নজর দেয়া উচিত। উৎসর্গকে মহিমান্বিত করতে, আরোও অধিকতর বিশুদ্ধ করতে কোরবানির পশুর সঠিক যত্ন ও পরিচর্যা, বিশেষ পদ্ধতিতে পশুকে মাটিতে ফেলা ও নিয়ন্ত্রণ, চামড়া ছাড়ানো, চামড়া সংরক্ষণ, বর্জ্য পরিষ্কার ও ব্যবস্থাপনা এবং জবাই করার জায়গা ও তার আশপাশের পরিবেশ স্বাস্থ্যসম্মত রাখার বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিত। কোরবানির মত মহৎ কাজটি করতে গিয়ে যদি নানা ধরনের বিপদ বিপত্তি, অব্যবস্থাপনা এমনকি পরিবেশ দূষিত হয়ে অসুখ বিসুখের প্রাদুর্ভাব ঘটে, তা নেহায়েৎ কাম্য নয়। তাই আমার অভিজ্ঞতা ও বিভিন্ন তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে কতিপয় অতি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়ে নিচে বিশদ আলোচনা করা হলো।
কোরবানির পশু ক্রয়, নিরাপদ আশ্রয় ও প্রস্তুতিমূলক করণীয় বিষয়াদি
অতি উৎসাহী হয়ে, হাক ডাক ছড়িয়ে বাজারের অন্যতম দামী পশুর দিকে ঝুঁকে যাওয়া ঠিক হবে না। বরং ধীর স্থিরভাবে কাঙ্খিত পশুটিকেই বাজার থেকে ক্রয় করতে হবে। পকেটমার, অবচেতনকারী, ছিনতাইকারী এমনটি জাল টাকা এসব ব্যাপারে বিশেষ সাবধানতা খুবই জরুরী। বাজার থেকে কোরবানির পশুটি যথাসম্ভব ঈদের খুব নিকটবর্তী দিনে ক্রয় করা উচিত। এতে পশুটি রাখা ও তার যত্ন পরিচর্যা নেওয়া সহজ হয়। ক্রয়কৃত পশুটিকে ছায়াচ্ছন্ন, শীতল স্থান ও শান্ত পরিবেশে রাখা দরকার। তাছাড়া পশুটিকে স্বতন্ত্রভাবে বা এককভাবে রাখা উচিত। কোরবানির দিনের আগের দিনের রাত হতে খাবার দেওয়া বন্ধ করা উত্তম। তবে জবাইয়ের ১২ ঘন্টা পূর্বে থেকে অবশ্যই কোন খাবার দেওয়া ঠিক হবে না। তবে শুধুমাত্র বিশুদ্ধ পানি পান করাতে পারেন। জবাইয়ের পূর্বে পশুটিকে পর্যাপ্ত পরিমান বিশ্রামের ব্যবস্থা করতে হবে। জবাইয়ের পূর্বে ভালোভাবে গোসল করানো উচিত। শরীর পরিষ্কারের পাশাপাশি শুকনা হওয়ার জন্য কোরবানির দিন সকালে গোছল করানো উত্তম।
কোরবানির জন্য সুস্থ পশু চেনার উপায়
কোরবানির জন্য বয়সের ব্যাপারটি অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে। সুস্থ পশু চেনার সাধারণ কিছু বৈশিষ্ট্য হলো মাথা তথা শিরদাড়া উঁচু, কান খাঁড়া, শরীর টানটান থাকবে। পশুগুলোর মধ্যে প্রাণোচ্ছ্বল ও প্রাণচাঞ্চল্যপূর্ণ চটপটে ভাব থাকবে, দ্রত হাঁটাচলা ও স্বাভাবিকভাবে খাওয়া-দাওয়া করবে। ভারি আওয়াজে এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করতে থাকবে এমনকি গুঁতো দিতেও উদ্যত হবে। পশুর মুখের সামনে কিছু খাবার বা ঘাস দিলে নিজ থেকেই জিব দিয়ে টেনে নিয়ে খাবার খেতে থাকে তাহলে পশুটি সুুস্থ। সুস্থ সবল পশুরা লেজ নাড়িয়ে শরীরের মাছি তাড়ায়। এক স্থানে স্থির হয়ে দাড়িয়ে থাকতে চায় না, কান নাড়াচাড়া করে, পশুর কাছে গেলে অনেক সময় গুতা দেওয়ার চেষ্টা করে, সুস্থ পশুর নাকের উপরটা ভেজা ভেজা থাকে। সুস্থ পশু বিশেষ করে গরুর ক্ষেত্রে পিঠের কুঁজ/গজ মোটা ও টান টান হয়ে থাকে। তবে মোটাতাজা পশু মানেই সুস্থ এমনটা নয় বরং বেশি মোটাতাজা পশুতে চর্বির পরিমাণ বেশি থাকে যা পরবর্তীতে মানুষের স্বাস্থ্যের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। কোরবানির পশু কেনার আগে পশুর শরীরের কোথাও ক্ষত আছে কিনা ভালোভাবে পরীক্ষা করে নিন। বিশেষ করে শিং ভাঙ্গা আছে কিনা, লেজ, মুখ, দাঁত, খুর এসব কিছুই পরীক্ষা করে দেখুন, কোন ত্রুটি চোখে পড়ে কিনা। অন্যদিকে স্থির হয়ে দাড়িয়ে থাকা, ঝিমানো, চোখের পাতা সাদাটে বর্ণের, মোটাতাজা পশুর শরীরে হাতের আঙ্গুলে চাপ দিলে ডেবে যাওয়া ও পূর্বাবস্থায় ফিরে আসতে যথেষ্ট সময় লাগলে এসব পশু না কেনার পরামর্শ রইল। তবে পশু কেনার সময় ওজনে ভারি, ফোলা ও চর্বিজাতীয় পশু না কেনাই উচিত।
জবাইয়ের স্থান নির্বাচন ও জবাই ব্যবস্থাপনা কৌশল
জবাইয়ের স্থানটি সমতল বা সমান হওয়া উচিত। স্থানটি খুব শক্ত বা পাকা হওয়া উচিত হবে না। জবাইয়ের পূর্বে স্থানটি অবশ্যই পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন করে নিতে হবে। জবাইয়ের স্থানের পাশে রক্ত জমা হওয়ার জন্য একটি ছোট গর্ত খুড়ে নিলে ভাল হয়। জবাইয়ের পরপরই রক্ত ভর্তি গর্তটি মাটি দিয়ে ভালোভাবে বন্ধ করে দিতে হবে। জবাইয়ের পূর্বে প্রাণিটিকে বাম পাশে শুয়াতে হবে। কারণ প্রাণির ডানপাশে যকৃত বা লিভার থাকে। কোন কারণে ডানপাশে ধপাশ করে ফেলে দিলে, শরীরের চাপে যকৃতে আঘাত লাগতে পারে এমনকি প্রাণিটি মারা যেতে পারে। শোয়ানো অবস্থায় প্রাণিটির পেটে বেশি জোরে চাপ দেওয়া ঠিক হবে না। গরুকে দড়ি দিয়ে প্যাচ দিয়ে মাটিতে ফেলার বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসরণ করা উচিত। এই পদ্ধতিতে প্রথমে একটি লম্বা মোটা শক্ত দড়ির এক প্রান্ত দিয়ে দুই শিং বেঁধে পরে স্কন্ধ বা শোল্ডারের ঠিক সন্মুখ ও পেছনে মোট দুটি এবং টিউবার কক্সির ঠিক সামনে একটি ফাঁস বা পেঁিচয়ে পেছনের দিক থেকে টানলেই গরু মাটিতে পড়ে যাবে। পরে মাটিতে শোয়ানো প্রাণিটির চারটি পা একত্রে বেঁধে নিয়ন্ত্রণ করে জবাই এর কাজ শুরু করতে হবে। এই প্রক্রিয়ায় সহজেই প্রাণিটিকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এই পদ্ধতিটিকে হাটউইপ’স পদ্ধতি বলে। তাই জোর জবরদস্তি করে প্রাণিটিকে কষ্ট দিয়ে মাটিতে শোয়ানোর চেষ্টা না করে বৈজ্ঞানিক এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করতে পারেন। প্রাণিটি মাটিতে শোয়ানোর পর যথাসম্ভব খুব দ্রুত জবাই করতে হবে।
চামড়া ছাড়ানো ব্যবস্থাপনা
জবাইয়ের সময় অবশ্যই ধারালো ছুরি ব্যবহার করা উচিত। এতে জবাই প্রক্রিয়া সহজ হবে ও পশু কম কষ্ট পাবে। জবাই শেষ হবার কিছুক্ষণ পর প্রাণিটির পায়ের বাঁধন, গলার ফাস ও শরীরের দুই স্থানের প্যাচ কিছুটা ঢিলা করে দিতে হবে। জবাইয়ের পরপরই চামড়া ছাড়ানোর জন্য তাড়াহুড়ো করা ঠিক হবে না। চামড়া ছাড়ানোর জন্য অভিজ্ঞ লোকের প্রয়োজন। শহর পর্যায়ে অনেকেই কসাই দ্বারা চামড়া ছাড়ানোর ব্যবস্থা করেন। গ্রামগঞ্জে এখনো অনেকেই নিজেরাই চামড়া ছাড়ানো দূরহ কাজটি করে থাকেন। তবে অতি উৎসাহী অনভিজ্ঞ লোক দ্বারা কখনই চামড়া ছাড়ানোর উদ্যোগ নিবেন না। কারণ চামড়া অতি মূল্যবান বস্তু। অনভিজ্ঞ ব্যক্তি চামড়া ছাড়ানোর সময় কেটে ফেলতে পারেন। অনেক সময় দেখা যায়, প্রাণ বহির্গত হবার পূর্বেই কসাইরা চামড়া ছাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু করে যা ধর্মীয় দিক থেকে অনুমোদিত নয়। জবাইয়ের পর পশুর শরীর থেকে সম্পূর্ণ রক্ত বের হয়ে যাবার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। প্রাণীটি যখন একেবারে নিরব নিস্তেজ হয়ে যাবে তখন তার চামড়া ছাড়ানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রথমে প্রাণিটিকে চিৎ করে শুইয়ে দিয়ে দুইপাশে কোন কিছু দিয়ে ঠেশ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। তারপর ছুরির মাথা দিয়ে জবাই করার স্থান থেকে গলা, সিনা ও পেটের ওপর দিয়ে সোজাভাবে হালকা করে কাটতে হবে। সামনের পায়ের হাটু থেকে সিনা বরাবরে সোজাকরে ধীরে ধীরে চামড়া কেটে পূর্বে কাটা দাগের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে। পেছনের দুই পায়ের ক্ষেত্রেও একইভাবে চামড়া কাটতে হবে। সামনের পায়ে সামনের দিক এবং পেছনের পায়ে পেছনের দিক থেকে কাটতে হবে। জবাইয়ের পরপরই পরিপাকতন্ত্রে পঁচন প্রক্রিয়া শুরু হয়। তাই জবাইয়ের পর খাদ্যনালীর প্রান্ত দেশ শক্ত করে বেঁধে দিতে হবে। চামড়া ছাড়ানোর সময় অতি সাবধানতার সাথে একটু সময় নিয়ে ছাড়াতে হবে। সাবধান থাকতে হবে কোন অবস্থাতেই যেন চামড়া কেটে ফেলা, চামড়াতে মাংস বা চর্বি রাখা উচিত হবে না। ছাগল ও ভেড়ার চামড়া ছাড়ানোর জন্য উঁচু স্থানে যথা গাছের ডালের সঙ্গে ঝুলিয়ে চামড়া ছাড়ানো উচিত। চামড়া ছাড়ানোর সাথে সাথে দ্রুত চামড়া বিক্রির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। বিক্রির আগ পর্যন্ত চামড়াটি কোন নির্দিষ্ট নিরাপদ জায়গায় ঝুলিয়ে রাখা উচিত। চামড়াতে কোন ময়লা লাগানো যাবে না। মনে রাখতে হবে, চামড়া অতি মূল্যবান অর্থকরী পণ্য। তাছাড়া চামড়া বিক্রিত টাকার ওপর গরীব মানুষদের হক রয়েছে। সেজন্যই চামড়া সংরক্ষণে জরুরী ব্যবস্থা নিতে হবে। ভালমানের চামড়া পেতে চামড়া ছাড়ানোর ৪ থেকে ৫ ঘন্টা সময়ের মধ্যে লবণ লাগাতে হবে। এতে চামড়ার পচন রোধ হবে এবং নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চামড়াকে সংরক্ষণ করা যাবে।
গোশত তৈরি, বন্টন ও সংরক্ষণ
এদিকে একটি পরিষ্কার সমতল জায়াগা নির্ধারণ করতে হবে। যেখানে গোশতের টুকরা তৈরি করা হবে। এক্ষেত্রে প্রথমে চাঁটাই বিছিয়ে তার উপর ত্রিপল বা কলাপাতা সুন্দর করে বিছিয়ে দিতে হবে। তারপর চামড়া ছাড়ানোকৃত দেহ হতে বিভিন্ন অঙ্গাদি কেটে এনে ঐ বিছানার ওপর রাখতে হবে। পরে ধারালো দা, বটি এবং চাপাতি ব্যবহার করে যথা সম্ভব দ্রুত গোশতের টুকরা তৈরি করতে হবে। হাড্ডি কাটার জন্য পাটাতন হিসেবে গাছের শক্ত গুড়ি যা বাজারের পাওয়া যায় ব্যবহার করতে পারেন। তবে খেয়াল রাখবেন হাড্ডির সাথে যেন কাঠের টুকরা মিশ্রিত না হয়। গোশত তৈরি সম্পন্ন হলে ধর্মীয় রীতি মোতাবেক বন্টন ও বিতরণ শেষে দ্রুত সংরক্ষণের ব্যবস্থা নিতে হবে। কোরবানির গোশত বিরতণে পরিবেশ বান্ধব প্যাকেট বা ব্যাগ ব্যবহার করা উচিত।
কুরবাণী বর্জ্য ব্যবস্থাপনা
একটি বিষয় লক্ষ্যনীয়, কুরবাণীর প্রাণিটি রাখার স্থান- উচ্ছিষ্ট খাবার, গোবর, চেনা; জবাইয়ের স্থান- রক্ত, গোবর, চেনা; চামড়া ছাড়ানোর স্থান- রক্ত, লসিকা, চামড়া লোম, গোবর, চেনা; গোশত তৈরির স্থান- মাংসের ছোট ছোট টুকরা, রক্ত, বিভিন্ন উচ্ছিষ্ট অংশ যথা শিং, ক্ষুর, জননাঙ্গ, লসিকা, হাড়ের ক্ষুদ্রাংশ এসব; চামড়া রাখার স্থান, পরিপাতন্ত্রের বিভিন্ন অংশ- ক্ষুদ্রান্ত, বৃহদ্রান্ত্র, এবোসোম, ওমেসাম, রেটিকুলাম, রুমেন এসব হতে নি:সৃত ময়লা এসব প্রত্যেকটি জায়গা বিভিন্নভাবে ময়লা আবর্জনায় ভরে যায়। এগুলো খুব দ্রুত জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হয় এবং পচন প্রক্রিয়া শুরু হয়। ফলে চারপাশ দুর্গন্ধে ভরে যায়। এতে পরিবেশ মারাতœকভাবে দূষিত হয়। ফলে নানা ধরনের রোগ জীবাণুর প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। অনেক সময় জনজীবন দুর্বিষহ যন্ত্রনাময় ধারণ করে। এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে আমাদের কিছু করণীয় রয়েছে। কুরবানীর প্রাণির গোশত কাটাকাটি শেষ হলে প্রথমেই উক্ত স্থান খুব ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। সকল বর্জ্য সঠিকভাবে অপসারণের পর সংশ্লিষ্ট স্থানের রক্ত ও অন্যান্য ময়লা আবর্জনা পানি দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। পরিষ্কার করার পর ব্লিচিং পাউডার বা অন্যান্য জীবাণুনাশক ছিটিয়ে দিতে হবে। এসব কাজগুলো যথাসম্ভব দ্রুত ও নিজ তাগিদে করা উচিত। সঠিকভাবে ও সঠিক সময়ে জীবাণু নাশক প্রয়োগ করলে সেখান থেকে কোন দুগর্ন্ধ ও রোগ বালাই ছড়িয়ে পরে না। ফলে কুরবাণী দেওয়ার মূল উদ্দেশ্য সফল হয়।
কুরবাণীর পশুর বর্জ্য অপসারণ করার ব্যাপারে সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক একটি বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়ে থাকে। নির্দেশনা মোতাবেক কুরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ করতে হবে। বাংলাদেশের রপ্তানিযোগ্য অন্যতম খাত হলো চামড়া শিল্প। প্রতি বছর চামড়া রপ্তানি করে বাংলাদেশ প্রায় ১.২৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে। বিশ্ব আসনে যা পঞ্চম। সুতরাং চামড়া শিল্পটাকে অবহেলা করে দেখার কোন অবকাশ নেই।
সর্বোপরি সহীহ শুদ্ধতা ও পবিত্রতায় ভরে ওঠুক সবার মন। ঈদের খুশিতে পুষ্পের হাসির মতো নির্মল বিশুদ্ধ হউক সবার কুরবানি
- Advertisement -
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.